গত ১৮ ই জুলাই মহানন্দা অভয়ারণ্যে ট্রেনে কাটা পড়ে ফের একটি হাতির মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে রাত এগারোটার কাছাকাছি সময়ে। প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে একটি ইঞ্জিন আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ির দিকে আসছিল। মহানন্দা অভয়ারণ্যের মধ্যে গুলমা স্টেশন থেকে প্রায় আড়াই / তিন কিলোমিটার আগে চোকলংখোলা হাতিদের নিজস্ব করিডর। বছর চার / পাঁচের একটি পুরূষ হাতি ওই করিডর দিয়ে রেললাইন পার হওয়ার সময়ে খালি ইঞ্জিনটি তাকে ধাক্কা মারে। ইঞ্জিনের ধাক্কার তীব্রতায় হাতিটির চারটি পা-ই ভেঙে যায়, নাড়িভুঁড়ি ছড়িয়ে পড়ে লাইনের উপরেই। মাথা ফেটে গিয়ে একটি চোয়াল শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।ধাক্কা মারার পর ইঞ্জিনটি হাতির দেহাংশ প্রায় ৫০ মিটার ছেঁচড়ে নিয়ে যায়। বছর চার-পাঁচ বয়সের এই হাতিটি উচ্চতায় চার ফুট ছিল। তার ছোটো ছোটো দাঁতও ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২০০৮ সালেও এই যায়গা থেকে ২০০ মিটার দূরে একটি হাতি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গিয়েছিল। ২০০৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৭ টি হাতি, ৫/৬ টি বাইসন, ৩/৪ টি লেপার্ড সহ আরও ছোটোখাটো বণ্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে ট্রেনের ধাক্কায়।
বার বার বলা সত্যেও এই রূটের ট্রেন গুলো বনাঞ্চলে তাদের গতি না কমানোয় এই দুর্ঘটণা ঘটছে। জানিনা কবে বন্ধ হবে এই বণ্যপ্রাণী ধংশ লীলা।
( সোমবার )
শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০১০
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কপিরাইট © দেবাশিস গুহ, দেবপাড়া চা বাগান, বানারহাট, জলপাইগুড়ি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.
আবার ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু এবং রেলদপ্তরের অভিযোগ অস্বীকারের পুরোনো সেই গল্প। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবি বার (০৮/০৮/১০)গভীর রাতে নাগরাকাটা থানার মূর্তি রেল সেতু সংলগ্ন চাপ্রামারির বনাঞ্চল এলাকায়। হাতিটি একটি পূর্ণ বয়স্ক দাঁতাল।
উত্তরমুছুনস্বাভাবিক কিংবা রোগব্যাধিতে নয়, ট্রেনের ধাক্কায় উত্তরবঙ্গে ৩৪ বছরে ৪২টি বুনোহাতি মারা গেছে। গত সাত বছরে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত বুনোহাতির সংখ্যা ১৭। একটি সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০০৪ সালে ১টি, ২০০৬ সালে ৫টি, ২০০৭ সালে ৩টি, ২০০৮ সালে ৩টি, ২০০৯ সালে ১টি ও ২০১০ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত ৪টি বুনোহাতি রেলের ধাক্কায় মারা গেছে। এছাড়া ২০০৪ সালে ১টি, ২০০৬ সালে ১টি, ২০০৯ সালে ২টি এবং ২০১০ সালে ১টি বাইসন ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছে। ট্রেনের ধাক্কায় বাঘ মারা গেছে ২০০৭ সালে ১টি।
উত্তরমুছুন